Header Ads

আগামীকাল নতুন সুর্য উঠবে। নতুন দিন শুরু হবে। নতুন একটি পৃথিবীর যাত্রা শুরু হবে। সেই পৃথিবীটা শুধু আল-কোরআনের। এই সপ্ন প্রত্যহই দেখি। শুধু বান্তবায়ন সময়ের অপেক্ষা............

হযরত ওসমান (রাঃ) এর ফযিলত



হযরত ওসমান (রাঃ) বিশেষ ফযিলতের অধিকারী ছিলেন। একদিকে তিনি হযুর পাক (সাঃ) এর দুইজন কন্যা ১।হযরত রোকাইয়া (রাঃ) ২। হযরত উম্মে কুলসুমা (রাঃ) কে বিবাহ করে যিননুরাইন উপাধি লাভ করেন অন্য দিকে হযরত ওসমান (রাঃ) এর মাতা উরয়া বিন্তে কুরাইজ  ছিলেন হযুর পাক (সাঃ) এর খালা। হযরত ওসমান (রাঃ) ছিলেন প্রথম ইসলাম গ্রহনকারীদের একজন।ইবনে ইসহাক বলেন, হযরত ওসমান  হযরত আবুবকর (রাঃ) ও রাসুল (সাঃ) এর পালক পুত্র হযরত যায়েদ ইবনে হারিছা (রাঃ) এর পরেই ইসলাম গ্রহন করেন। হযরত ওসমান (রাঃ)  রাসুল (সাঃ) এর অত্যন্ত প্রিয় পাত্র ছিলেন তিনি ওহী লেখক ও বেহেশ্তের সু-সংবাদ প্রাপ্ত  সাহাবাদের একজন ছিলেন । আল্লাহর রাসুল (সাঃ) থেকে তিনি ১৪৬ টি হাদিস বর্ননা করেন।  তিনি অত্যন্ত বিনয়ী লজ্জাশীল ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী ছিলেন। রাসুল সাঃ বলেন-     أَلاَ أَسْتَحِي مِنْ رَجُلٍ تَسْتَحِي مِنْهُ الْمَلاَئِكَةُ"
অর্থাৎ- আমি ওসমানের মত এত বেশি লজ্জা ফিরিশতাদের করতে দেখেছি অন্য হাদিসে বর্নিত হয়েছে-
وعن عبد الرحمن بن عثمان القرشي، ان رسول الله دخل على ابنته رقية وهي تغسل رأس عثمان فقال : " يا بنى, أَحْسِنِي إِلَى أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، فَإِنَّهُ أَشْبَهُ أَصْحَابِي خُلُقًا"  "
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ওসমান কোরাইশী (রাঃ) হতে বর্নিত, একদা রাসুল (সাঃ) তার মেয়ে রুকাইয়া (রাঃ) এর ঘরে প্রবেশ করেন তখন রুকাইয়া (রাঃ) তার স্বামী ওসমান (রাঃ) এত মাথা ধৌত করে দিচ্ছিলেন তখন রাসুল (সাঃ) বলেন হে বৎস আবু আব্দুল্লা(ওসমান) এর প্রতি সদাচরন কর! নিশ্চয় সে আমার সাহাবীদের মধ্য চারিত্রিক বিচারে অধ্যপরিবাহী।"
হযরত ওসমান (রাঃ) ছিলেন অত্যন্ত সুশ্রী ও গাম্ভির্যপুর্ন চেহারার অধিকারী। রাসুল (সাঃ) তাকে মুসলমানদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর চেহারার অধিকারী বলেছেন। বর্নিত আছে-
عن عائشة رضى الله عنها حيث قالت: لما زوج النبى ابنته ام كلثوم قال لها " ان بعلك اشبه الناس بجدك ابراهيم وابيك محمد"
হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, যখন হযরত ওসমান (রাঃ) রাসুল (সাঃ) এর কন্যা উম্মে কুলসুমকে বিবাহ করেন, তখন রাসুল (সাঃ) উম্মেকুলসুমকে বলেন নিশ্চয় তোমার স্বামী তোমার দাদা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর সদৃশ আর তোমার বাবা মোহাম্মদ (সাঃ)।
রাসুল সাঃ নিম্নক্ত আয়াত গুলো উল্লেখ করে প্রত্যকটির উত্তরে বলেছেন বলেন, এর প্রতিবিম্ব শুধু ওসামান (রাঃ)- এরশাদ হচ্ছে-
أَمْ مَنْ هُوَ قَانِتٌ آَنَاءَ اللَّيْلِ سَاجِدًا وَقَائِمًا يَحْذَرُالآَخِرَةَ وَيَرْجُو رَحْمَةَ رَبِّهِ(زمر-9) قال هوعثمان بن عفان: عن ابن عمرأنه قال في قول الله
অনুবাদঃ যে ব্যক্তি রাত্রিকালে সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না; তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবন া কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। [ সুরা যুমার ৩৯:৯ ] রাসুল (সাঃ) বলেন সে হবে হযরত ওসমান (রাঃ)
هُو وَمَنَْ يَأْمُرُ بِالْعَدْلِ وَهُوَ عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ- (زمر-النحل-76) قال هو عثمان بن عفان ابن عباس في قوله تعالى :هَلْ يَسْتَوِي قال
অনুবাদঃ সে কি সমান হবে ঐ ব্যক্তির, যে ন্যায় বিচারের আদেশ করে এবং সরল পথে কায়েম রয়েছে। [ সুরা নাহল ১৬:৭৬ ] রাসুল (সাঃ) বলেন সে হবে হযরত ওসমান (রাঃ)
قُلْ يَا عِبَادِ الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا رَبَّكُمْ لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةٌ وَأَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةٌ إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُم بِغَيْرِ حِسَابٍ.
قال هو عثمان بن عفان (10الزُّمر )
অনুবাদঃ বলুন, হে আমার বিশ্বাসী বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়াতে সৎকাজ করে, তাদের জন্যে রয়েছে পুণ্য। আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী, তারাই তাদের পুরস্কার পায় অগণিত। [ সুরা যুমার ৩৯:১০ ] রাসুল (সাঃ) বলেন সে হবে হযরত ওসমান (রাঃ)
হযরত ওসমান (রাঃ) এর আরো একটি ফযিলত হচ্ছে, ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, হযরত জাফর ইবনে আবি তালিব (রাঃ) এর সাথে ইসলামের প্রথম হিজরতে রাসুল (সাঃ) এর আদেশে যারা নিজেদের মাতৃভুমি মক্কা ছেড়ে সুদুর হাবশায়(আবিসিনিয়া)পাড়ি জামিয়েছিলে তাদের মধ্য হজরত ওসমান (রাঃ) অন্যতম একজন ছিলেন ইসলামের সবচেয়ে আলোচিত ষষ্ট হিজরীতে হোদায়বিয়া প্রান্তরে সংঘঠিত বাইয়াতে রিদওয়ান হযরত ওসমান (রাঃ) কে কেন্দ্র করেই  সংঘঠিত ওসমান (রাঃ) কে রাসুল (সাঃ) মক্কাবাসীদের নিকট দুত হিসেবে প্রেরন করেন ওসমান (রাঃ) মক্কা থেকে ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় আল্লাহর রাসুল সাহাবীদের তার হাতে হাত রেখে ওসমান (রাঃ) হত্যার প্রতিশোধ গ্রহনের জন্য বাইয়াত করান যে বাইয়াতে আল্লাহ ও তার রাসুল সন্তুষ্ট ছিলেন বিধায় পবিত্র কোরআনে এ বাইয়াতকে রিদওয়ান নাম দেয়া হয়েছে এরশাদ হচ্ছে-
إِنَّ الَّذِينَ يُبَايِعُونَكَ إِنَّمَا يُبَايِعُونَ اللَّهَ يَدُ اللَّهِ فَوْقَ أَيْدِيهِمْ فَمَنْ نَكَثَ فَإِنَّمَا يَنْكُثُ عَلَى نَفْسِهِ وَمَنْ أَوْفَى بِمَا عَاهَدَ عَلَيْهُ اللَّهَ فَسَيُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
যারা আপনার কাছে আনুগত্যের শপথ করে, তারা তো আল্লাহর কাছে আনুগত্যের শপথ করে। আল্লাহর হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে। অতএব, যে শপথ ভঙ্গ করে; অতি অবশ্যই সে তা নিজের ক্ষতির জন্যেই করে এবং যে আল্লাহর সাথে কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করে; আল্লাহ সত্ত্বরই তাকে মহাপুরস্কার দান করবেন।

হযরত ওসমান (রাঃ) অত্যন্ত মজলুম অবস্থায় শাহাদাত বরন করেন। এ অবস্থাটি সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) বলেন।
عن ابن عمر انه قال ذكر رسول الله فتنة يقتل فيها هذا مظلوما لعثمان
অর্থাৎ- হযরত ইবনে (রাঃ) বলেন রাসুল সাঃ একবার ফিতনা সম্পর্কে উল্লেখ করে বলেন সে ফিতনায় হযরত ওসমান (রাঃ) অত্যন্ত মজলুম থাকবেন।

No comments

Powered by Blogger.